ডেটা কমিউনিকেশন ধারণা

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি - কমিউনিকেশন সিস্টেমস ও নেটওয়ার্কিং | NCTB BOOK
1.5k
Summary

কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ হলো তথ্য আদান-প্রদানের একটি প্রক্রিয়া, যা প্রেরক ও গ্রহণকারী উভয়ের মধ্যে নিরাপদভাবে তথ্য সরবরাহ করে। এই প্রক্রিয়ায় একটি ট্রান্সমিটার (প্রেরক যন্ত্র) এবং একটি রিসিভার (গ্রাহক যন্ত্র) প্রয়োজন হয়।

তথ্য সোর্স থেকে শব্দ, ছবি ইত্যাদি মাধ্যমে পৌঁছায়। সোর্স-এর ডেটা ইনপুট ট্রান্সডিউসারের মাধ্যমে ইলেকট্রিক সংকেতে রূপান্তরিত হয় এবং মিডিয়ামের মাধ্যমে ট্রান্সমিট হয়। মিডিয়ামে নয়েজ যুক্ত হতে পারে, যা সংশোধনের ব্যবস্থা থাকতে পারে।

ডেটা কমিউনিকেশনে ব্যবহৃত উপাদানগুলোর উদাহরণ:

  • সোর্স: মাইক্রোফোন, ক্যামেরা, কীবোর্ড
  • ট্রান্সমিটার: বেতার কেন্দ্র, টেলিভিশন কেন্দ্র, মোবাইল ফোন
  • মিডিয়াম: টেলিফোন ক্যাবল, ফাইবার অপটিক
  • রিসিভার: টেলিফোন এচেঞ্জ, মডেম
  • গন্তব্য: লাউড স্পিকার, কম্পিউটার

কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ হলো তথ্য আদান প্রদানের জন্য দুটি পয়েন্টের মধ্যে সংযোগ বা লিংক স্থাপনের প্রক্রিয়া। অর্থাৎ প্রেরণকারী ও গ্রহণকারীর মধ্যে নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে ডেটা আদান-প্রদানের একটি ব্যবস্থা। 2.1 চিত্রে একটি ইলেকট্রনিক ডেটা কমিউনিকেশন পদ্ধতির গঠন দেখানো হয়েছে।

এখানে দেখা যাচ্ছে যে ডেটা কমিউনিকেশনের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে উৎস হতে শব্দ, প্রতীক, ভগ, ছবি ইত্যাদি একটি মাধ্যম হয়ে গন্তব্যে পৌঁছে। এ প্রক্রিয়ায় একটি ট্রান্সমিটার বা প্রেরক যন্ত্র এবং একটি রিসিভার বা গ্রাহক যন্ত্র প্রয়োজন হয়। উৎস বা সোর্স হতে প্রাপ্ত ডেটাকে ইনপুট ট্রান্সডিউসারের মাধ্যমে ইলেকট্রিক সংকেতকে আলোক সংকেতও হতে পারে) রূপাক্ষর করে ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে মিডিয়ামে (তার বা তারবিহীন) পাঠায়। এরপর মিডিয়াম হতে রিসিভার ইলেকট্রিক সংকেতকে আউটপুট ট্রান্সডিউসারের মাধ্যমে পূণরায় রূপান্তর করে গন্তব্য বা ডেস্টিনেশনে পৌঁছে দেয়। এখানে প্রাপ্ত ডেটা উৎস ডেটার ন্যায় হয়ে থাকে। উল্লেখ থাকে উৎস হতে গন্তব্যে ডেটা প্রেরণের সময় মিডিয়ামে নয়েজ (বিক্ষিপ্তভাবে অপ্রত্যাশিত ইলেকট্রিক সংকেত) যুক্ত হতে পারে যা সংশোধনের ব্যবস্থা থাকে ।

ডেটা কমিউনিকেশনে ব্যবহৃত উপাদানগুলোর উদাহরণ:

১. উৎস বা সোর্স (তথ্য উৎস ও ইনপুট ট্রান্সডিউসার)- মাইক্রোফোন, ক্যামেরা, কীবোর্ড ইত্যাদি।

২. ট্রান্সমিটার বা প্রেরক যন্ত্র - বেতার কেন্দ্র, টেলিভিশন কেন্দ্র, টেলিফোন, মোবাইল ফোন, মডেম, রাউটার ইত্যাদি।

৩. মিডিয়াম বা মাধ্যম- টেলিফোন/ফাইবার অপটিক ক্যাবল, রেডিও/মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি।

৪. রিসিভার বা গ্রাহক যন্ত্র- টেলিফোন এচেঞ্জ, মডেম, রাউটার ইত্যাদি।

৫. গন্তব্য বা ডেস্টিনেশন (আউটপুট ট্রান্সডিউসার ও তথ্য গন্তব্য)- লাউড স্পিকার, টেলিফোন, কম্পিউটার ইত্যাদি।

Content added By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...